ডিটেকটিভ নিউজ ডেক্সঃ
“ভারতের উচিত দ্ব্যর্থহীনভাবে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে এবং শিক্ষার্থী-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া,” বলেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
তার মতে, দুই দেশের মাঝে সম্পর্ক শুরুর জন্য এটিই প্রথম পদক্ষেপ। “জুলাই অভ্যুত্থানকে উপেক্ষা করে নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করা উভয় দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে।”
“ভারতপ্রেমীরা বা ভারতের মিত্ররা ভাবছেন যে বিষয়গুলো শান্ত হয়ে যাবে এবং জুলাই অভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্টের নৃশংসতা এড়িয়ে গেলে কিছু হবে না” উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন যে এটি ভুল ধারণা। তিনি আজ বুধবার ভোর ৬টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ কথা জানান।
“ভারতীয় শাসকগোষ্ঠী এই অভ্যূত্থানকে একটি জঙ্গি, হিন্দু-বিরোধী ও ইসলামপন্থী ক্ষমতা দখল হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের প্রচার এবং উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে,”।
তিনি আরও লেখেন, “ভারতের ‘৭৫-পরবর্তী কৌশল পরিবর্তন করে নতুন বাংলাদেশের বাস্তবতা উপলব্ধি করা উচিৎ। এটি আর ‘৭৫-এর মতো পরিস্থিতি নয়। জুলাইয়ের অভ্যুত্থান ছিল একটি গণতান্ত্রিক, প্রজন্মের এবং দায়িত্বশীল সংগ্রাম। এবং, এই সংগ্রাম দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত থাকবে।”
“দিল্লি বা ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা!”, “মার্তৃভূমি অথবা মৃত্যু!” শ্লোগানগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই ঐক্যবদ্ধ, মর্যাদাবান এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে শত্রু বানানো উচিৎ নয় ভারতের। ‘৭১-পরবর্তী সময়ে আমরা একটি রাষ্ট্র হিসেবে ব্যর্থ হয়ে ছিলাম, কিন্তু এবার নয়।”